নিজস্ব প্রতিবেদক:
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নোয়াখালী–৪ (সদর–সুবর্ণচর) আসনে রাজনৈতিক তৎপরতা বাড়লেও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেনি।
এতে দলটির তৃণমূল পর্যায়ে সৃষ্টি হয়েছে উদ্বেগ ও কৌতূহল।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রার্থীত্ব নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতা মাঠপর্যায়ের নির্বাচনী প্রস্তুতিকে কিছুটা ব্যাহত করছে। এ অবস্থায় তৃণমূলের বড় অংশ এককভাবে একটি নামই সামনে আনছে—কাজী তানভীর।
নোয়াখালী সদর ও সুবর্ণচর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সাংগঠনিক কার্যক্রমে যুক্ত কাজী তানভীর স্থানীয় রাজনীতিতে পরিচিত মুখ। দলীয় কর্মসূচি, আন্দোলন, জনসংযোগ ও সংগঠন বিস্তারে তাঁর সক্রিয় ভূমিকা তৃণমূল নেতাকর্মীদের আস্থা অর্জন করেছে।
একাধিক তৃণমূল নেতা জানান, এই আসনে এনসিপিকে শক্ত অবস্থানে নিতে হলে মাঠে পরীক্ষিত ও গ্রহণযোগ্য নেতৃত্ব প্রয়োজন। তাঁদের ভাষায়, “কাজী তানভীর মাঠের রাজনীতি বোঝেন, কর্মীদের সঙ্গে তাঁর সরাসরি যোগাযোগ আছে। আমরা তাঁকেই প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাই।”
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রার্থীত্ব নির্ধারণে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে এখনো আলোচনা চলছে। জোট রাজনীতি, জাতীয় কৌশল ও সাংগঠনিক ভারসাম্যের বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখা হচ্ছে বলে জানা যায়। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তৃণমূলের মতামত উপেক্ষা করে সিদ্ধান্ত নিলে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে নির্বাচনী ফলাফলে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, নোয়াখালী–৪ আসনে প্রার্থীর ব্যক্তিগত গ্রহণযোগ্যতা ও মাঠের সংযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে জায়গায় কাজী তানভীর তৃণমূলের কাছে এগিয়ে রয়েছেন।
এনসিপির প্রার্থী ঘোষণায় বিলম্ব যত দীর্ঘ হচ্ছে, ততই কর্মীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা বাড়ছে। নির্বাচনী প্রস্তুতি, জনসংযোগ ও কৌশল নির্ধারণে সময়ের গুরুত্ব থাকলেও এখনো চূড়ান্ত দিকনির্দেশনা না পাওয়ায় অনেকেই উদ্বিগ্ন।
তৃণমূলের দাবি, দ্রুত প্রার্থী ঘোষণা করা না হলে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলগুলো এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারে।
কী সিদ্ধান্ত নেবে এনসিপি?
নোয়াখালী–৪ আসনে এনসিপির প্রার্থীত্ব এখন শুধু একটি সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নয়; এটি দলটির তৃণমূল রাজনীতিকে কতটা গুরুত্ব দেয়, তারও একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। তৃণমূল ইতিমধ্যে তাদের প্রত্যাশা স্পষ্ট করেছে।
এখন দেখার বিষয়, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সেই বার্তাকে কতটা গুরুত্ব দিয়ে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেয়।


