ads
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

হাদিকে গুপ্ত বাহিনী, নিষিদ্ধ বাহিনী হামলা করেছে-শিবির সেক্রেটারির

অনলাইন ডেস্ক

হাদিকে গুপ্ত বাহিনী, নিষিদ্ধ বাহিনী হামলা করেছে-শিবির সেক্রেটারির

হাদিকে গুপ্ত বাহিনী, নিষিদ্ধ বাহিনী হামলা করেছে-শিবির

নিজস্ব প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম মন্তব্য করেছেন যে, শরীফ ওসমান হাদিকে গুপ্ত বাহিনী ও নিষিদ্ধ বাহিনী হামলা করেছে।


শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বরে নিহত ৭ শহীদের স্মরণে আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।


তিনি বলেন, "শরীফ ওসমান হাদি জুলাই বিপ্লবের অন্যতম সেনানায়ক, আপোসহীন নেতৃত্ব। আজীবন আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে তার কণ্ঠস্বর জারি রেখেছেন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার দুই-তিন দিন আগেও আমার সঙ্গে তার কথা হয়েছে। তিনি বিভিন্নভাবে আমাদের সঙ্গে কথা বলতেন এবং আশঙ্কা করতেন—তাকে হত্যা করার জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

আমরা বারবার তাকে অনুরোধ করতাম, 'হাদি, একটু সাবধানে থাকো, বের হয়ো না।' সে বলতো, 'মওতের ফয়সালা আসমানে হয়। আমি যদি ঘরের ভেতরও থাকি, তবুও তো মারা যাবো। রাজনীতিবিদের জন্য এটা শোভনীয় নয়। সুতরাং, ঘরের ভেতর থেকে মৃত্যুবরণ করতে নয়, রাজপথে থেকে মৃত্যুবরণ করার জন্য আমার জন্ম হয়েছে।' সেই শরীফ ওসমান হাদিকে গুপ্ত বাহিনী, নিষিদ্ধ বাহিনী হামলা করেছে। সে এখন জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এই ভরা মজলিসে মহান রবের কাছে তার প্রাণ ভিক্ষা চাই।

আল্লাহ যেন আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে এই বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বরকে আরও কিছুদিন আমাদের জন্য ফেরত দেন। এই বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর বাতিলের এক আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। একজন ব্যক্তি যেভাবে কথা বলতো, তাদের তখ্‌ত-তাউস (সিংহাসন ও রাজমুকুট) নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে। তারা মনে করেছে আমাদের গুলি করে দমাতে পারবে। তারা ভুলে গিয়েছে, আমরা মায়ের উদর থেকে শাহাদাতের তামান্না নিয়ে এই জমিনে পা রেখেছি।"


শিবিরের এই সেক্রেটারি উল্লেখ করে বলেন, "উদয় অথবা অস্তের কোনো ক্লান্তি আমাদের দুর্বল করতে পারবে না। আমাদের শাহাদাতের তামান্না আমাদের রক্তের ধমনীতে প্রবাহিত হয়। সুতরাং, যারা মনে করো ইসলামী ছাত্রশিবিরকে গুম, খুন, হত্যা, দেশান্তরিত করার মাধ্যমে নির্বাসিত করতে পারবে, তোমরা দেখে নাও কোম্পানীগঞ্জবাসী, সারা বাংলাদেশ জেনে নাও—আমরা হুঁশিয়ার করে বলছি তোমাদের, বাতিলরা যদি সোজা না হও। এক রক্তের বিনিময়ে হাজারো রক্ত জন্ম নেয়। এই কোম্পানীগঞ্জের মাটি এখন উর্বর হয়েছে। লক্ষ লক্ষ তরুণ যুবক কুরআনের প্রেমে আসক্ত হয়ে ইসলামী আন্দোলনের পথে তাদের জীবনকে বিনিয়োগ করতে ওয়াদাবদ্ধ হয়েছে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সবাইকে কবুল করুক।"


বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির নোয়াখালী জেলা দক্ষিণের সভাপতি হাফেজ সাইফুর রসুল ফুহাদের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম।


বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন নোয়াখালী ৪ আসনের সংসদ সদস্য ও নোয়াখালী জেলা জামায়াতের আমীর ইসহাক খন্দকার। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় বায়তুলমাল সম্পাদক আনিসুর রহমান, কেন্দ্রীয় শিল্প ও সংস্কৃতি সম্পাদক এইচ এম আবু মুসা, কেন্দ্রীয় কার্যকারী পরিষদ সদস্য ও নোয়াখালী শহরের সভাপতি হাবিবুর রহমান আরমান, নোয়াখালী জেলা উত্তরের সভাপতি দাউদ ইসলাম, নোয়াখালী-৫ আসনের জামায়াতের প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা বেলায়েত হোসেন, বসুরহাট পৌর জামায়াতের আমীর মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।


আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে কোম্পানীগঞ্জের আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুলসংখ্যক ছাত্র ও যুবক অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান শেষে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।


উল্লেখ্য, জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভায় আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিতে ৭ শিবিরকর্মী নিহত হন। তারা হলেন: আব্দুস সাত্তার, সাইফুল ইসলাম, মতিউর রহমান সজিব, আব্দুর নুর রাসেল, আব্দুল আজিজ রায়হান, সাইফুল ইসলাম ও মো. মিশু।

 

এই বিভাগের আরও খবর

ads

সর্বশেষ খবর

হাইলাইটস

বিশেষ সংবাদ

শিরোনাম