রাকিব মোহাম্মদ আরজু, নোবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ
বাংলার নারী জাগরণ ও নারী শিক্ষার অন্যতম অগ্রদূত নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানীর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হল প্রশাসন।
শুক্রবার (০৭ নভেম্বর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হলের প্রভোস্ট, সহকারী প্রভোস্টবৃন্দ ও আবাসিক শিক্ষার্থীরা কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামে অবস্থিত এই মহীয়সী নারীর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানায়।
শ্রদ্ধা নিবেদন কর্মসূচিতে অংশ নেন নোবিপ্রবির নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হলের আবাসিক শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজের শিক্ষক-কর্মকর্তাবৃন্দ। এসময় তাঁরা নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানীর শিক্ষা বিস্তার, নারী জাগরণ ও সমাজ সংস্কারে অবদানের কথা স্মরণ করেন।
নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হল প্রভোস্ট ড. আবিদুর রহমান বলেন, "নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরী ছিলেন বাংলার ইতিহাসে এক অসাধারণ নারী ব্যক্তিত্ব — তিনি ছিলেন বাংলার প্রথম মুসলিম নারী নবাব, একজন শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবিকা ও সাহিত্যিক। তিনি অন্য আর সাধারণ নবাবের মতো ছিলেন না, তিনি অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন।
ব্রিটিশ সরকার তাঁর সমাজসেবামূলক কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তাঁকে 'নবাব' উপাধি প্রদান করেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ওনার নামে হল রয়েছে। আমরাও তাঁর সম্মানার্থে নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী নামে হলের নামকরণ করেছি। আমরা হল প্রশাসন, কর্মকর্তা, কর্মচারী, কিছু সংখ্যক হলের শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকসহ ওনার ঐতিহাসিক যে অবদান সেটা স্মরণ এবং ওনার সমাধিতে পুষ্প অর্পণ করার নিমিত্তে আজ এখানে এসেছি।"
হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নৌরি-ই-ত্বাহা বলেন, "আজকে হল প্রশাসন কর্তৃক নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে, যেটা কুমিল্লায় অবস্থিত। নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী শুধু কুমিল্লায় না, সারা বাংলাদেশে খ্যাত এবং জুলাই পরবর্তী সময়ে ওনার নামে একটা হলের নামকরণ করা হয়। আমি কুমিল্লার মেয়ে, আমার খুব ইচ্ছা ছিলো নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানীর নামে একটা হলের নামকরণ করা হোক।
পরবর্তীতে যখন শুনি ওনার নামে হলের নামকরণ করা হয়েছে, আমরা যারা কুমিল্লার আছি তারা আবেগাপ্লুত হয়েছি। আজকে হল প্রশাসন কর্তৃক যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সেটা প্রশংসার দাবি রাখে এবং আমরা চাই ভবিষ্যতেও এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।"
উল্লেখ্য, বিগত ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত রিজেন্ট বোর্ডের ৬৪তম সভায় বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম পরিবর্তন করে নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হল নতুন নামকরণের এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।


