ads
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

হাদিকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য, নোবিপ্রবি ছাত্রদল নেতার পোস্ট ভাইরাল

অনলাইন ডেস্ক

হাদিকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য, নোবিপ্রবি ছাত্রদল নেতার পোস্ট ভাইরাল

হাদিকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য, নোবিপ্রবি ছাত্রদল নেতার পোস্ট ভাইরাল

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সর্দার মাহমুদুল হাসান দুর্জয়ের একটি ফেসবুক পোস্ট ঘিরে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। 

জুলাইয়ের গণআন্দোলনে আলোচিত এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে কেন্দ্র করে দেওয়া তার এই পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

ফেসবুকে দেওয়া দীর্ঘ ও কড়া ভাষার স্ট্যাটাসে সর্দার মাহমুদুল হাসান দুর্জয় সরাসরি হাদি ও ইনকিলাব মঞ্চের বিরুদ্ধে অবস্থান ঘোষণা করেন। তিনি এসব প্ল্যাটফর্মকে ‘প্রক্সি রাজনীতির পতিতাবৃত্তি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

ভাইরাল হওয়া স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, “জুলাইয়ের পথশিশু হাদি ও তার ইনকিলাব মঞ্চের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছি, কারণ প্রক্সি পলিটিক্সকে আমি রাজনৈতিক পতিতাবৃত্তি মনে করি। 

অতীতে এই রাষ্ট্রের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংকট ও বিভাজন যতটা না সরাসরি রাজনৈতিক দলের দ্বারা ঘটেছে, তার চেয়েও বেশি ঘটিয়েছে এসব প্রক্সি গ্রুপগুলো; গণজাগরণ মঞ্চ তার উদাহরণ।”

স্ট্যাটাসে তিনি আরও বলেন, “গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে যে দু-চারজন লোক দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করে এনার্কি জারি রাখছে এবং সবসময় একটি কেয়োটিক পরিস্থিতি তৈরি করছে, তাদের মধ্যে এই ব্যক্তি অন্যতম। 

ইনকিলাব মঞ্চের যত্রতত্র মব করে অপ্রাসঙ্গিক আওয়ামী রেজিম ও হাসিনাকে জনমনে প্রাসঙ্গিক করে রাখার অন্যতম কারিগর হচ্ছে এই হাদি।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, “সবকিছুর নাকি একটা যাকাত দিতে হয়, হাদি হচ্ছে জুলাইয়ের যাকাত। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই দেশের শাহবাগ-শাপলা বাইনারির যে ইতি আমরা জুলাইয়ে টেনেছিলাম, তা সম্পূর্ণ হতে দেয়নি এই প্রক্সি। 

হাসিনা ও সিপিবির কালচারাল ফ্যাসিজম গুঁড়িয়ে দিতে আমরা জুলাইয়ে নেমেছিলাম, কিন্তু সেটাকে নষ্ট করার অন্যতম কারিগর এই ইনকিলাব মঞ্চ।”

স্ট্যাটাসের শেষে তিনি বলেন, “ইনকিলাব মঞ্চ শিল্প-সাহিত্যকে ধ্বংস করার যে প্রকল্প নিয়েছে, তার বাইরেও সবচেয়ে বড় ক্ষতি হচ্ছে পূর্ব বাংলার মুসলমানদের সাংস্কৃতিক মুক্তির এজেন্সি দখল করে মিডিয়া হাউজের সামনে গরু জবাই, হুমকি-ধামকি, গালিগালাজ ও মব সৃষ্টি করে এই দেশের আরবান শিক্ষিত মিডল ক্লাসের কাছে প্রান্তিক মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত বাঙালি মুসলমানদের অপ্রগতিশীল ও ট্রাইব্যাল মৌলবাদী হিসেবে উপস্থাপন করা। 

ফলে সিপিবি ও আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক ন্যারেটিভ আরও শক্তিশালী হচ্ছে।”

দুর্জয়ের এই পোস্ট ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। 

কেউ কেউ এটিকে ‘উসকানিমূলক ও বিভাজন সৃষ্টিকারী’ মন্তব্য হিসেবে সমালোচনা করছেন।

এই বিষয়ে সর্দার মাহমুদুল হাসান দুর্জয় বলেন, “যেকোনো ধরনের কালচারাল পলিটিক্সকে আমি বিভাজন হিসেবে দেখি। অতীতে এই ধরনের রাজনৈতিক ধারা দেশে রাজনৈতিক সংকট ও বিভাজন তৈরি করেছিল। ওসমান হাদীর ইনকিলাব মঞ্চের কিছু কিছু কর্মকাণ্ড নিয়ে আমার মতপার্থক্য অবশ্যই ছিল। কিন্তু ওসমান হাদীর ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা ও হত্যাকে কখনোই সমর্থন করি না। ওসমান হাদিকে আওয়ামী ঘাতকদের হাত থেকে রক্ষা করতে না পারা এই সরকারের বড় ব্যর্থতা  এবং উসমান হাদী হামলার সাথে সাথে এর প্রতিবাদও জানাইছি। রাষ্ট্রীয় নির্লিপ্ততায় এমন হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী।

এই বিভাগের আরও খবর

ads

সর্বশেষ খবর

হাইলাইটস

বিশেষ সংবাদ

শিরোনাম