নিজস্ব প্রতিনিধি:
দীর্ঘদিনের দাবি ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কেন্দ্র কর্মসূচির অংশ হিসেবে নোয়াখালীতেও দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা।
রোববার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত নোয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালসহ জেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট পরিষদ’-এর ব্যানারে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে বিপুল সংখ্যক টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট অংশগ্রহণ করেন। কর্মবিরতি চলাকালে হাসপাতালের প্যাথলজি, রেডিওলজি ও ফার্মেসী বিভাগের সেবা কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রাখা হয়, তবে জরুরি বিভাগে সেবা কার্যক্রম চালু ছিল।
আন্দোলনকারীরা জানান, অন্যান্য ডিপ্লোমাধারীরা ১০ম গ্রেড পেলেও স্বাস্থ্যখাতের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই দুই পেশার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে ১১তম গ্রেডে চাকরি করছেন, যা চরম বৈষম্য।
কর্মবিরতি চলাকালে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে তারা এই বৈষম্যের শিকার। অথচ রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা সেবায় টেকনোলজিস্টদের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
আন্দোলনরত নেতারা বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে ১০ম গ্রেডের ন্যায্য দাবি জানিয়ে আসছি, কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় তা বারবার আটকে যাচ্ছে। কৃষি ও অন্যান্য ডিপ্লোমাধারীরা ১০ম গ্রেড পেলে আমরা কেন পাব না? এই বৈষম্য আর মেনে নেওয়া হবে না।”
ভবিষ্যৎ কর্মসূচি ও আল্টিমেটাম িসমাবেশ থেকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলা হয়, যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের দাবি মেনে প্রজ্ঞাপন জারি না করা হয়, তবে আরও কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবেন তারা। কেন্দ্রীয় ঘোষণা অনুযায়ী, দাবি আদায় না হলে আগামী ৪ ডিসেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি বা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হতে পারে বলে জানান তারা।
সকালে ২ ঘণ্টার এই কর্মবিরতির কারণে দূর-দূরান্ত থেকে আগত রোগী ও তাদের স্বজনরা কিছুটা ভোগান্তিতে পড়েন। বিশেষ করে প্যাথলজি ও এক্স-রে বিভাগের সামনে সেবা প্রত্যাশীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। তবে আন্দোলনকারীরা জানান, তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে বলেই তারা এই পথ বেছে নিয়েছেন।
