১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

হাদির জন্য দোয়া করায় হট্টগোল-মারধর, শ্রমিক নেতা আহত

হাদির জন্য দোয়া করায় হট্টগোল-মারধর, শ্রমিক নেতা আহত

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর সদর উপজেলার কাদিরহানিফ ইউনিয়নের বাইতুল আমান জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ উসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এতে শ্রমিক অধিকার পরিষদের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক  নুরুন নবী আহত হন।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর মসজিদের সাসনে  এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জুমার নামাজের পর মসজিদের ইমাম তার মোনাজাতে ওসমান হাদীর রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করেন। দোয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে গণজাগরণ মঞ্চের নেতা এনায়েত উল্যাহ, 

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আব্বাস উদ্দিন সোহাগ, আনোয়ার ও ফখরু উদ্দিন মসজিদের ভেতরে হট্টগোল শুরু করেন। একপর্যায়ে নামাজ শেষে প্রতিবাদ করায় তারা নুরুন নবীকে কিল-ঘুষি মারেন। এতে তার নাক ফেটে রক্তপাত হয়। পরে তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি আশঙ্কামুক্ত রয়েছেন।

গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী আব্দুজ জাহের বলেন, ইমাম সাহেব কেন হাদির জন্য দোয়া করে এটা নিয়ে নামাজ শেষে স্থানীয় আওয়ামী লীগের লোকজন বাকবিতন্ডা করে, 

এতে প্রতিবাদ করায় স্থানীয় আওয়ামী ক্যাডার ফখরুল, সোহাগ, এনায়েত উল্লাহ, আনোয়ার সহ কয়েকজন নোয়াখালী জেলা শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নুর নবীর উপর হামলা করে। কোথায় আছি আমরা? প্রশাসন শক্ত ব্যবস্থা না নিলে আমরাই আমাদের ব্যবস্থা নিবো ইনশাআল্লাহ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আবু তৈয়ব মোঃ আরিফ হোসেন বলেন, বিষয়টি শুনেছি। ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে তারা মৌখিকভাবে থানায় জানিয়ছে। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।