নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অশ্লীল আচরণের অভিযোগে ইংরেজি বিভাগের ২০১৭–১৮ সেশনের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান জনিসহ দুইজনকে আটক করেছে প্রক্টরিয়াল বডি।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর ২০২৫) রাত ৮টার দিকে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের পাশে আপত্তিকর অবস্থায় তাদের আটক করা হয়। তবে গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও মাত্র একটি মুচলেকার ভিত্তিতে ছেড়ে দেওয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের আড়ালে ক্যাম্পাসে অশ্লীলতা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।
যারা এসব অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে কথা বলেন, তাদেরকে বিভিন্নভাবে উপহাস করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, আটক শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান জনি অতীতেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশ্লীলতা বিরোধী শিক্ষার্থীদের নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য করেছিলেন।
এ বিষয়ে ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ এর অন্যতম সমন্বয়ক ও নোবিপ্রবি এর শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান সীমান্ত বলেন, “অশ্লীলতার বিরুদ্ধে যারা কথা বলেন তাদের নিয়ে বিদ্রূপকারীরাই আজ আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েছে। প্রশাসন যদি শুধুমাত্র মুচলেকার মাধ্যমে ঘটনা চাপা দিতে চায়, তাহলে এমন অনৈতিকতা নোবিপ্রবির নিয়মিত সংস্কৃতিতে পরিণত হবে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ছাত্রী হলগুলোতে অবিলম্বে ‘সান্ধ্য আইন’ জারি করতে হবে।”
অন্যদিকে, অভিযুক্ত নাজমুল হাসান জনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, একটি মাত্র অ্যাঙ্গেল থেকে তোলা ছবি ব্যবহার করে তাঁর মানহানি করা হচ্ছে। তিনি স্বীকার করেন যে তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন, তবে অশ্লীল অবস্থায় ছিলেনএ দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
তাঁর অভিযোগ, ক্যাম্পাসে প্রেম করা বা স্বাভাবিকভাবে বসে কথা বলাকেও কিছু শিক্ষার্থী ও সংবাদকর্মী মোরাল পুলিশিংয়ের মাধ্যমে অপরাধে পরিণত করার চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে নোবিপ্রবির প্রক্টর আরিফুর রহমান বলেন, “বিগত সময়ে একই ধরনের আরও কয়েকটি বিব্রতকর ঘটনা ঘটেছে এবং আমরা শিক্ষার্থীদের মুচলেকায় ছেড়ে দিয়েছি।
কিন্তু শুধু মুচলেকার মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া এসব ঘটনাকে উৎসাহিত করবে বলে মনে করি। আগামী রবিবার এ বিষয়ে জরুরি মিটিং ডাকা হয়েছে, সেখানে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।