২১ নভেম্বর, ২০২৫

বিএনপি রাজাকারের হাতে স্বাধীনতার পতাকা জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছে এ কী গালি আমরা শুনলাম!—মাহবুব উদ্দিন খোকন

বিএনপি রাজাকারের হাতে স্বাধীনতার পতাকা জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছে এ কী গালি আমরা শুনলাম!—মাহবুব উদ্দিন খোকন

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
আমরা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে কিছু বলতে চাই না, তারপরেও বলতে চাই— তারা আমাদের বন্ধু ছিল। আমরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দল।

অথচ আমাদেরকে গালি দেওয়া হয়। বলা হয়, 'বিএনপি জামায়াত রাজাকারের দল'। আমরা ২০২১ সালে জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের মন্ত্রী বানিয়েছিলাম। এই বিএনপি রাজাকারের হাতে স্বাধীনতার পতাকা 'জাতীয় পতাকা' তুলে দিয়েছে— এ কী গালি আমরা শুনলাম!

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকালে নোয়াখালী সোনইমুড়ি উপজেলায় নির্বাচনী কর্মী সাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ. এম. এম. মাহবুব উদ্দিন খোকন। 

সভায় সভাপতিত্ব করেন সোনাইমুড়ী পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মোতাহের হোসেন মানিক। 

তিনি আরো বলেন, দেশে কত লোক গ্রেপ্তার হয়েছে, কত লোক আহত হয়েছে— আমাদের নেতা-কর্মীরা ভোট দিতে পারে না।

আমরা আশা করি, আজকের পূর্ণাঙ্গ রায়ের মাধ্যমে ভবিষ্যতের নির্বাচন ব্যবস্থা সুষ্ঠু হবে। কেউ যদি ভবিষ্যৎ নির্বাচনী ব্যবস্থায় কোনো ষড়যন্ত্র করে, বাংলাদেশের জনগণ যুদ্ধ করে তাদের প্রতিহত করবে।

১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আওয়ামী লীগের সাথে এবং জাতীয় পার্টির সাথে মিলে আন্দোলন করেছে। তখন আমরা মনে করেছিলাম যে নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ সরকারের পক্ষে থাকবে।

এই জন্য সংসদে বিএনপি এটিকে পাশ করিয়েছিল। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি পুনর্বিবেচনা করে এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছিল।

আপনার শুনে খুশি হবেন যে আমাদের সুপ্রিম কোর্ট-এর আপিল ডিভিশন গতকাল আবার নির্বাচনী ব্যবস্থা তত্ত্বাবধানের জন্য (বা 'নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোট ব্যবস্থা' বা 'তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ভোট ব্যবস্থা') পুনরায় প্রবর্তন করেছেন। আমরা আশা করি, এই সিদ্ধান্তে সারা দেশে একসাথে স্বস্তির নিশ্বাস পড়েছে।

স্বাধীনতার পর থেকে আমাদের দেশে যখনই নির্বাচন আসে, কোনো না কোনোভাবে ভোট হয়। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে মাত্র তিনটি নির্বাচন মোটামুটি সুষ্ঠু হয়েছে।

আর কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। সবগুলোই হয়েছে দলীয় শাসনে। এই কারণেই সবার দাবি তত্ত্বাবধায়ক সরকার।