২৯ অক্টোবর, ২০২৫

মিষ্টি কুমড়া চাষে তরুণ কৃষক মামুনের সাফল্য

মিষ্টি কুমড়া চাষে তরুণ কৃষক মামুনের সাফল্য

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের উত্তর গামছাখালী গ্রামের তরুণ কৃষক মো. মামুন হোসেন ইস্ট ওয়েস্ট সীড ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির কে.টি (নলেজ ট্রান্সফার) পদ্ধতি ব্যবহার করে মিষ্টি কুমড়া চাষে এক বিস্ময়কর সাফল্য অর্জন করেছেন।

মামুন তাঁর নিজস্ব ৪৬০ বর্গমিটার জমিতে একক ফসল হিসেবে ইস্ট ওয়েস্ট সীডের উন্নত জাত ‘সিড়ি’ মিষ্টি কুমড়ার চাষ করেন। প্রযুক্তিনির্ভর এই পদ্ধতিতে চাষ করে তিনি মাত্র ৩৯ দিনের মধ্যে প্রথম ফলন সংগ্রহ করেন, যা স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ সৃষ্টি করেছে।

কৃষক মামুন জানান, তিনি চলতি বছরের ২২ জুলাই বীজ বপন করেন এবং ৪ আগস্ট ২৪০টি চারা রোপণ করেন। এরপর মাত্র ৩৯ দিনের মাথায়, অর্থাৎ ১৮ সেপ্টেম্বর প্রথম দফায় ফসল বিক্রি শুরু করেন।

প্রথম পর্যায়ে তিনি মোট ১,৭০০ কেজি কুমড়া সংগ্রহ করেন, যার বাজারমূল্য দাঁড়ায় ৪৩,১০০ টাকা। উৎপাদনে তাঁর মোট খরচ হয়েছে ১২,৭২০ টাকা, ফলে প্রথম ধাপেই তাঁর ৩০,৪০০ টাকা নিট লাভ হয়। মামুন আশাবাদী, অবশিষ্ট ফল বিক্রি করে তাঁর আরও প্রায় ৩০,০০০ টাকা অতিরিক্ত আয় হবে।

অনুষ্ঠিত হলো ‘মাঠ দিবস’ তরুণ এই কৃষকের প্রদর্শনী প্লট এলাকাজুড়ে ব্যাপক সাড়া ফেলায় গত বুধবার (২২ অক্টোবর) তাঁর জমিতে একটি ‘মাঠ দিবস’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই আধুনিক চাষ পদ্ধতির সুবিধা সম্পর্কে জানতে দুই শতাধিক কৃষক-কৃষাণী সেখানে ভিড় করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন হাতিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল বাসেত সবুজ। ইস্ট ওয়েস্ট কে.টি’র টেকনিক্যাল ফিল্ড অফিসার মো. রাকিবুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রহমত আলী ও হাসান মাহমুদ।

বক্তারা বলেন, স্বল্প সময়ে, নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে চারা রোপণ করে উচ্চ ফলন পাওয়ায় মামুনের এই উদ্যোগটি একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। তাঁরা দৃঢ়ভাবে আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, এ ধরনের প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক চাষাবাদ আগামী দিনে এলাকার কৃষকদের আয় ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।